Islamic

প্রশ্ন: 
রমযানের ২৫ তারিখে আমার যাকাতের বছর পূর্ণ হয়। আমি সবসময় ২৫ রমযান বা তারপর দু একদিনের মধ্যেই যাকাত আদায় করে থাকি। কিন্তু এ বছর একজন দরিদ্র লোককে রমযানের আগেই যাকাত দিয়ে দিয়েছি। প্রশ্ন হল, যাকাতের বছর পূর্ণ হওয়ার আগে যাকাত দিলে তা আদায় হবে কি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর:
হ্যাঁ, নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের জন্য বছর পূর্ণ হওয়ার আগেও যাকাত আদায় করা জায়েয। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার অগ্রিম যাকাত দেওয়া শুদ্ধ হয়েছে।
-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৬৭৮; আলমাবসূত, সারাখসী ২/১৭৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/২৯৩

-মাসিক আলকাউসার

প্রশ্ন:
অনেককে দেখা যায়, তারা প্যান্টের সাথে গেঞ্জি কিংবা শর্ট শার্ট পরে এবং ঐ পোশাকে নামায আদায় করে। আর ঐ পোশাকে নামায পড়লে রুকু-সিজদার সময় সাধারণত কোমরের নিচের অংশ থেকে কাপড় সরে যায়। আমার প্রশ্ন হল, ঐভাবে নামায পড়লে কি তা সহীহ হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর:
পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশটুকু সতরের অন্তর্ভুক্ত। যা ঢেকে রাখা ফরয। নামায অবস্থায় সতরের কোনো অঙ্গের এক চতুর্থাংশ তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামায নষ্ট হয়ে যায়। তাই নাভি বরাবর পেছন দিক থেকে নিতম্ব পর্যন্ত জায়গার এক চতুর্থাংশ এ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। আর এমন পোশাকে নামায পড়লে পেছনের মুসল্লিদের খুশু-খুযুও নষ্ট হয়। এছাড়া প্রশ্নোক্ত পোশাক মুসলিম উম্মাহর নিজস্ব পোশাক নয়। তাই এ ধরনের পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকাই উচিত।
প্রকাশ থাকে যে, সকল মুসলমানের জন্য শরীয়তসম্মত পোশাক পরিধান করা আবশ্যক এবং এ ব্যাপারে শরীয়তের যে নীতিমালা আছে তা মেনে চলা জরুরি। পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও বিজাতীয় অনুকরণ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে হাদীস শরীফে তাকিদ এসেছে।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪০২৭; মিরকাত ৮/২২২; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪০৪, ৪০৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৭৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫৯

-মাসিক আলকাউসার

প্রশ্ন:
রমযান মাসে রোযা অবস্থায় অসুস্থতার কারণে এক ব্যক্তির বমি হয়। এর দ্বারা কি তার রোযা ভেঙ্গে গেছে? এখন তার কী করণীয়?
উত্তর:
না, একারণে তার রোযা ভাঙ্গেনি। কেননা রোযা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (যদি তা বেশিও হয়) রোযা ভাঙ্গে না। অবশ্য কেউ ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রোযা অবস্থায় (অনিচ্ছাকৃত) বমি হলে তা কাযা করতে হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত বমি করলে সে যেন তা কাযা করে নেয়।
-জামে তিরমিযী, হাদীস ৭২০; কিতাবুল আসল ২/২০২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩২৬

-মাসিক আলকাউসার

No comments:

Post a Comment